নারী উন্নয়ন ও সমতার লক্ষ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (SDG) ও দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রের (NSAPR) আলোকে নারী উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নকল্পে রাজস্ব ও উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রালয়ের অধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে নারী উন্নয়নে গৃহীত সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগ ও কার্যক্রমের সমন্বয় করা।
নারীবান্ধব আবাসিক/অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বৃত্তিমূলক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
ভিডব্লিউবি কর্মসূচি(পূর্বের ভিজিডি): বাংলাদেশ সরকারের সর্ববৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি (Safety net programme) দুঃস্থ ও অসহায় এবং শারীরিকভাবে সক্ষম মহিলাদের উন্নয়ন স্থায়ীত্বের জন্য দুই বৎসর ব্যপি বা ২৪ মাস প্রতি নারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি খাদ্যশস্য ও প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। ভিডব্লিউবি মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৯৭৩ জন।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত "দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা" এবং "শহর অঞ্চলের ল্যাকটেটিং ভাতা" উন্নত সংস্করণ "মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি"। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের আওতায় ০ থেকে ৪ বছরের শিশুর পুষ্টিমান উন্নয়ন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য এই কর্মসূচী পরিকল্পনা করা হয়েছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সমগ্র বাংলাদেশে গ্রামীণ এলাকার দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং গর্ভবতী মা, কম আয়ের কর্মজীবী মায়ের গর্ভকালীন ০-৪ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়তার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে।উপকারভোগীরা প্রতিমাসে ৮০০ টাকা হারে ৩৬ মাস ভাতা প্রাপ্ত হন। বর্তমানে প্রায় ১৪০১ সুবিধাভোগী অন্তর্ভূক্তি হয়েছে এবং এই কর্মসূচি থেকে মাসিক সুবিধা পেয়েছে।
মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম: বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিত্তহীন ও দরিদ্র মহিলাদের উৎপাদনমূখী কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। ‘‘মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম’’ কর্মসূচিটি ২০০৩-০৪ হতে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত ৮৬৪ জন উপকারভোগী ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছে
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচি: ১৯৮৬ সালে নির্যাতনের শিকার নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১ জন আইন কর্মকর্তার সম্বনয়ে ৪টি পদ নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু হয় যা পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধসহ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কমিটি গঠন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়েও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নারীও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার: নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্ট্রোরাল কার্যক্রমের মাধ্যমে হেল্পলাইনের ১০৯ নাম্বারে তাৎক্ষনিকভাবে আইনী সহায়তা প্রদান। যেকোন মোবাইল হতে ২৪ঘণ্টা এই নাম্বারে ফোন করে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু তাদের পরিবারের সদস্যসহ যে কেউ প্রয়োজনীয় সাহায্য পেতে পারেন।
স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রন ও অনুদান বিতরণ: স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনসমূহের নিবন্ধন প্রদান ও তদারকিসহ তাদের মধ্যে বাৎসরিক অনুদান প্রদান করা হয়।মধুপুর উপজেলায় মোট ১৪ টি সক্রিয় সমিতি রয়েছে ।
ক্লাবে সংগঠিত করে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ণ কর্মসূচি: পরিবার ও সমাজের সহায়ক পরিবেশে কিশোর –কিশোরীদের সমাজ পরিবর্তনের সক্রিয় এজেন্ট হিসাবে ক্ষমতায়ন করতে কিশোর – কিশোরী ক্লাব পরিচালনা ।বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানী রোধকল্পে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকারভোগী কিশোর কিশোরীর সংখ্যা প্রায় ৩৬০ জন। পৌরসভা এবং ইউনিয়ন এ মোট ১২ টি ক্লাব রয়েছে ।